অগ্রিম রুলিং হলো আবেদনকারীর লিখিত অনুরোধের ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক জারিকৃত লিখিত নির্দেশনা যা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং আবেদনকারী উভয়ের জন্য পরিপালন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর আওতায় পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস এবং উৎস দেশ সংক্রান্ত বিষয়ে রুলিং জারি করা হয়ে থাকে।
কাস্টমস আধুনিকায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বাংলাদেশে অগ্রিম রুলিং পদ্ধতি চালু করেছে। বর্তমানে পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস ও উৎস দেশ বিষয়ে এই সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। ২০১৬ সালের ০২ জুন কাস্টমস রুলিং (অগ্রিম) বিধিমালা, ২০১৬ জারির মাধ্যমে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
একটি নির্দিষ্ট পণ্য কোন এইচ এস কোড এ শ্রেণিবিন্যাসিত হবে কিংবা পণ্যের উৎসদেশ নিয়ে কোন জটিলতা হবে কিনা তা পণ্য আমদানি রপ্তানির আগেই অবহিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান অগ্রিম রুলিং এর আবেদন করতে পারেন। আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো পণ্যকে কিভাবে শ্রেণিবিন্যাসের জন্য বিবেচনা করা হবে (তথা কোন এইচ এস কোড এ শ্রেণিবিন্যস্ত করা হবে) সে বিষয়ে অগ্রিম রুলিং আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকদের নিশ্চয়তা (certainty) দিয়ে থাকে। এরূপ আগাম তথ্য হাতে থাকায় আমদানি/রপ্তানিকারকগণ শুল্ককরের হিসাব আগেভাগে করে তার ব্যবসায় পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন।